শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: আওলাদে রাসূল, ভারত শাহী মুরাদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা সায়্যিদ আশহাদ রশিদী বলেছেন, ‘মানুষের জীবনে তিনটি জিনিষ অতি মূল্যবান, এগুলো অর্জন করতে পারলে তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত সফল হবে। আর তা হলো তেলাওয়াতে ক্বোরআন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত পড় এবং আল্লাহর রাস্তায় দান করা।’ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া হুসাইনিয়া দারুল উলূম দরগাহপুর মাদরাসায় আয়োজিত এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাওলানা শফিকুল আহাদ সরদার, দরগাহপুর মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস মাওলানা নূরুল ইসলাম খানসহ মাদরাসার সকল শিক্ষক-ছাত্রবৃন্দ ও এলাকার সর্বস্তরের জনতা।
তিনি আরো বলেন, একজন মানুষ প্রতিদিন দুনিয়ার অসংখ্য কাজ করে, কিন্তু আল্লাহর জন্য তারা কিছুই করতে চায় না। মানুষ এতো বেশি ব্যস্ত যে, ক্বোরআন শরীফ তেলাওয়াত করার সুযোগ পায় না; আপনি প্রতিদিন কিছু কিছু করে হলেও পবিত্র কালামে পাকের তিলাওয়াত করবেন। এ সময় তিনি এ সংক্রান্ত পবিত্র ক্বোরআনের আয়াত ও হাদিস পাঠ করেন। বলেন, যিনি ক্বোরআন শিক্ষা করেন এবং অন্যকে শিক্ষা দেন, তিনিই সর্বোত্তম ব্যক্তি। এছাড়া এই কার্যক্রম ধারাবাহিক থাকলে এর দ্বারা আপনি সদকায়ে জারিয়াও পাবেন। তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা অনেক মনিষীদেরকে স্মরণ করি, যেমন ইমাম গাজালী, শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী প্রমুখদের; যারা ক্বোরআন ও হাদিসের প্রচার-প্রসারের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন, এর সওয়াব তারা কবরে বসেও পাবেন। তিনি আল্লামা আব্দুল হক শায়খে গাজীনগরী মদফুনে মাক্কীর নাম উচ্চারণ করে বলেন, আজকে আমরা যে স্থানে বসতে পেরেছি, সেটি তিনি করে গেছেন। এর সওয়াব তিনি আজীবন পাবেন।
পরিষ্কার, প্রাঞ্জল ও শুদ্ধ উর্দু ভাষায় দেয়া ভাষণে তিনি প্রত্যেককে পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত আদায়ের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, অনেকেই নিয়মিত নামায পড়েনা, দুই ওয়াক্ত পড়লে তিন ওয়াক্ত পড়েনা। এই নামায আল্লাহ প্রদত্ত্ব নয়, এটি আপনার মনগড়া পদ্ধতি। তাই এ ধরণের নামায আদায়কারীদের ভয়াবহ পরিণাম উল্লেখ করেন।
আল্লামা সায়্যিদ আশহাদ রশিদী আরো বলেন, মানুষ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে চায় না, অথচ আল্লাহর দেয়া এ সমস্ত মাল তার রাস্তায় খরচ করলে শুধু যে লাভবান হবে; এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আপনি ব্যবসা করলে লাভ-লোকসানের আশঙ্কা থাকে, আর আল্লাহর রাস্তায় দান করলে সেই আশঙ্কা নেই। তিনি সাধ্যমতো ছাত্রদেরকেও দান করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে তিনি বলেন, এতে করে দান করার অভ্যাস গড়ে ওঠবে।